রমজানের ফজিলত সম্পর্কে
ভূমিকাঃ
আরো পড়ুনঃসাজেক ভ্যালি কোন জেলায় অবস্থিত? সাজেক ভ্যালি ভ্রমণ টিপস
[পোস্ট সূচিপত্র]
- ভূমিকা
- রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে কোরআনে কি বলা হয়েছে
- রমজান মাসে সিয়াম সম্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন
- রমজান মাসে সলাত সস্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন
- রমজান মাসে কুরআন শিক্ষার বিষয়ে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন
- রমজান মাসে সেহরী খাওয়া নিয়ে আল্লাহ কি বলেছেন
- রমজান মাসে কোন ২০টি আমল রয়েছে তা নিচে দেওয়া হলো
১: রমজান মাসের ফজিলত ও আমল সম্পর্কে কোরআনে কি বলা হয়েছে:রমজান মাস হলো এমন একটা মাস যা হাজার মাসের চেয়ে উত্তম একটি মাস।এই মাস হলো সওয়াব অর্জনের একটি মাস,রমজান মাস হলো আল্লাহ তাআ'লার বিশেষ একটি নিয়ামত।সওয়াব অর্জন করার একটি মৌসুম।
এই রমাজান মাসে আল্লাহ কোরআনকে নাযিল করেছেন,এই মাসে আল্লাহ রহমত,বরকত নাযাতের মাস রমাদান মাস।"রমাদান মাসে কোরআন নাযিল করা হয়েছে,লোকদের পথ প্রদশর্নন করা হয়ছে,সত্য মিথ্যার পথপ্রদর্শক হিসেবে"। সূরা আল বাকারাহ'র : ১৮১ নং হাদিস।
রমজান সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লাম বলছেন যে প্রত্যেক টা মুমিনের জন্য রোজা কে ফরজ করা হয়েছে।পুরো রমজান মাস তোমাদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতিছে,তিনি আরও বলেন যে এই মাসে সবার জন্য জান্নাতের দরজাকে খুলে দেওয়াহয়েছে আর জাহান্নামের দরজা কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।প্রত্যেক শয়তান কে শিকল দিয়ে হাত পা গুলো বেধে রেখে দেওয়া হয়েছে।যে এই সহি ভাবে আমল করবে আল্লাহ তাআ'ল তার সমস্ত গুনা মাফ করে দিয়ে তাকে জান্নাতে দিবে।
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাহু অসাল্লাম আরও কিছু আমল দিয়েছেন তা হলো যে ব্যাক্তি এখলাস এর সহিত সঠিক ভাবে আমল করবেন আল্লাহ তার গুনাহ গুলো কে মাফ করে দিবেন।আর যে ব্যাক্তি টাকা উপার্জনের জন্য বা মানুষকে দেখানোর জন্য আমল করবেন আল্লাহ তার গুনাহ গুলোকে কোনোদিন মাফ করবেন না। [সূরা আল বায়্যিনাহ]
২:রমজান মাসে সিয়াম সম্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন:রমজানের ৫টি রুকনের মধ্যে অন্যতম রুকন হলো সিয়াম। যে ব্যাক্তি ইসলামের সহিত আল্লাহ কে খুশি করার জন্য রমজানের ৩০ টি সিয়াম সঠিক ভাবে আদায় করলো আল্লাহ তারওপর খুশি হয়ে তার সমস্ত গুনাহগুলিকে মাফ করে দিবেন। রমজান মাসের সর্বশ্রেষ্ঠ আমল হলো সিয়াম পালন করা।আল্লাহ বলেন "তোমাদের মাঝে যে মাস টি উপস্হিত হবে তোমারা যেনো সঠিক ভাবে সিয়াম পালন করো"।[ সূরা আল বাকারাহ:১৮৫]
৩:রমজান মাসে সলাত সস্পর্কে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন: রমজান মাসে সলাত সম্পর্কে আল্লাহ খুবই গুরুত্ব দিয়েছেন। সিয়াম পালনের সাথে সাথে সময় মত সলাত আদায় করা মুমিনদের জন্য ফরজ। কুরআন মাজীদে বলা হয়েছে," নিশ্চয় মুমিনদের জন্য সলাত আদায় করা ফরজ করা হয়েচে"।[ সূরা আন নিশা:১০৩]
৪:রমজান মাসে কুরআন শিক্ষার বিষয়ে আল্লাহ তাআ'লা কি বলেছেন: প্রত্যেকটা মুসলমান কে কুরআন শিক্ষা গ্রহন করার জন্য আল্লাহ তাআ'লা বার বার বলেছন।যে ব্যাক্তি রমজান মাসে কুরআন শিখবে আর বেশি বেশি আমল করবে আল্লাহর তরফ থেকে ফেরেশতাগন তাকে সার্বক্ষনিক পাহাড়া দিতে থাকবে।
যে ব্যাক্তি রমজান মাসে একটি হরফ উচ্চারন করবে সেই ব্যাক্তি কে আল্লাহ একটি হরফ উচ্চারন করার জন্য ৭০ গুন নেকি তার আমল নামাই দিয়ে দিবেন। এই রমজান মাসেই কুরআন নাযিল হয়েচে। প্রত্যেক মুমিন কে কুরআন শিক্ষা করা ফরজ করা হয়েছে,আর বলা হয়েছে "পড় তোমার প্রভুর নামে"। [সূরা আলাক:১]
৫:রমজান মাসে সেহরী খাওয়া নিয়ে আল্লাহ কি বলেছেন:সেহরী খাওয়ার মধ্যে বরকত আছে,সিয়াম পালনের জন্য সেহরী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।আল্লাহ তাআলা বলেন যে তোমরা সেহরী খাবার একটি বরকতময় খাবার,তোমরা কেউ সেহরী খাওয়া বাদ দিয়ো না,একটু পানি খেয়ে হলেও তোমরা সেহরী খেয়ে নাও।
৬ঃরমজান মাসে কোন ২০টি আমল রয়েছে তা নিচে দেওয়া হলো:
১*আল্লাহ বলেছেন তোমরা চাঁদ দেখে সিয়াম রাখো আর চাঁদ দেখে ঈদুল ফিতর পালন করো।[বুখারী মুসলিম]
২*যে মাসে তোমরা সিয়াম পাবে সেই মাসে প্রত্যেকে যেন সিয়াম রাখে।[ সূরা ১৮৫]
৩*যে বাক্তি রমজানের ৩০টি রোজা সঠিক ভাবে আদায় করবে আল্লাহ তার আগের সমস্ত গুনাহগুলি মাফ করে দিবেন।বুখারি মুসলিম।
৪*রোজা রেখে কেউ যদি ঝগড়া করতে আসে তাহলে তোমরা বলবে আমি রজাদার।বুখারি মুসলিম
৫* যে বাক্তি রমজান মাসে রাত জেগে নামাজ আদায় করবে আল্লাহ তার পূর্বের গুনাহ মাফ করবেন।
৬* যে বাক্তি রমজান মাসে রজাদারকে ইফতার করাবে আল্লাহ তার আমল নামাই নেকি দিয়ে ভরপুর করে দিবে।বুখারি মুসলিম
৭* যে বাক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলল তার সারদিন রোজা রেখে কোন লাভ নেই।
৮*রমজান মাসে জিব্রাইল আঃ আল্লাহর সাথে বেশি বেশি সাক্ষাৎ ক্রতেন।
৯*রমজান মাসে আল্লাহর রাসুল বেশি বেশি মেসওয়াক ক্রতেন।
১০*আল্লাহ রমজান মাসে যাকাত আদায় করতে বলেছেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url